তোমার আসন শূন্য আজি....
১৯২৯ সাল। পেট্রোলশিল্পে আড়াই মাস ব্যাপী এক ঐতিহাসিক ধর্মঘট পালিত হয়। এই আন্দোলনের দীপশিখাটি তেল শ্রমিকদের মধ্যে অনির্বাণ করে দিয়েছিলেন নেতাজি। কুইন সিনেমার বিপরীতের এই বাড়িটিতে গোপনে সভা হতে থাকে। প্রায়ই থেকে যেতে নেতাজি। গোপনে রাত্রিবাস চলত এ বাড়িতে।ব্যায়ামবীর শ্রী বসন্ত সামন্ত যিনি তখন পি.কে স্কুলের তৎকালীন ব্যায়ামের শিক্ষক, তিনি নেতাজির পাহারায় থাকতেন। বজবজের সঙ্গে নেতাজির ঘনিষ্ঠতা তখন খুবই গভীর হয়েছিল।বলার কথা, কোমাগাতামারু ঘটনার নেতা বাবা গুরুদিৎ সিং নেতাজির সঙ্গে এই আন্দোলনে শরিক হন। প্রয়োজনে মাঝে মাঝে মান্নাবাবুর বাড়িতেও নেতাজি থাকতেন বলে জানা যায়।স্থানীয় রেকর্ড থেকে এরকম কিছু কথা জানা যায় কিন্তু মোট কতবার নেতাজি বজবজে এসেছিলেন বা কতগুলি সভা করেছিলেন, সেগুলি সম্ভবত কোথাও লেখা নেই। “সুভাষ রচনাবলী”তে কয়েকটি জনসভার কথা সংক্ষিপ্তভাবে বলা আছে। সেইসব জনসভায় নেতাজির বক্তৃতার কিছুকিছু অংশ লেখা আছে।

কুইন সিনেমার বিপরীতের এই বাড়িটিতে নেতাজি আসতেন
"তোমার আসন শূন্য আজি
হে বীর পূর্ণ করো"
